আমি শিলা। বাবার চার নম্বর মেয়ে। এখন আমি ৩২ বছর। বিধবা হয়েছি দু মাস হল।
বরের এক্সিডেন্ট আর সেই জায়গাতেই মৃত্যু। দুই ছেলে নিয়ে আমি পড়লাম অকুল
পাথারে। আমার মা নেই। বিয়ের আগেই মারা গেছে।আমার ওপরে আমার বাবার কোন টান
নেই। বাবা চেয়েছিল ছেলে। কিন্তু আমি হলাম মেয়ে। আগের তিন মেয়ের ওপরে
বাবার বেশ টান। কিন্তু আমি অভাগী। আমার বিয়েতেও বাবা থাকেনি। যদিও তার আগে
আমার জন্মের পরেই আমার মা মারা গেছিলেন। বাবা আমার ছোট মাসীকে টাকা পইসা
দিয়েছিলেন আর ছোট মাসী আমার বিয়ে দিয়েছিল। বাবা চলে গেছিল বম্বে তে।
সেখানেই বাবা থাকেন। কোন একটি বড় কোম্পানি তে বেশ বড় চাকরি করেন। আমকে
কোন রকমে বিয়ে দিয়েছিলেন বাবা। একটি অটো ওলার সাথে। কারন একটাই, আমার
ওপরে ঘেন্না। ছেলে চেয়েছিল বাবা, কিন্তু আমি হলাম ফের মেয়ে। কোনদিন আমাকে
কিছু কিনে দেন নি বাবা। দিদিদের দামি দামি জিনিস বাবা কিনে এনে দিতেন।
আমাকে না। দিদিদের জামা কাপড় পরেই আমার বড় হওয়া। দিদিরা পরত নামি ইংলিশ
মিডিয়াম ইস্কুলে আমি পড়তাম বাংলা মিডিয়াম ইস্কুলে। দিদিরা বাবারগাড়িতে
ইস্কুল যেত আর আমি সাইকেল করে। যাই হোক আমি কোনদিন এই ব্যাপার টা মাথায়
নিই নি। কারন জানতাম যে এই তাই হয়ত নিয়ম। আমি আমার মত থাকতাম। বাবা যেটা
বলত মেনে চলতাম বাবাকে খুশি করার জন্য। কিন্তু বাবা খুশি হত না। আমার
রেজাল্ট একটু খারাপ হলেই কপালে মার ও জুটেছে। কিন্তু দিদিরা ফেল করলেও বাবা
কিছু বলতেন না। তাই এইচ এস পরীক্ষায় আমি সেকেন্ড ডিভিশন পাওয়ায় বাবা
মাসীকে কে বলে আমার বিয়ে দিয়ে দিলেন নম নম করে। তার আগে অবশ্য আমার দুই
দিদির বিয়ে হয়েছিল। আসলে বাবা মায়ের বিয়ে হয়েছিল ছোট বেলায়। মানে
বাবা তখন ২১ আর মা ১৭। আমার বড় দিদি আমমাকে জন্ম দিতে গিয়ে মা মারা না
গেলে আমার কপালেও হয়ত দিদিদের মতই আদর জুটত। কিন্তু কেউ কেউ আসে ফুটো কপাল
নিয়ে। আমি সেই দলের। বাবা এখন ৬০ বছরের। আমারও দুই ছেলে। বড় টা ১০
বছরের। আর ছোট ছেলে টা ছয় মাস মাত্র। তাই বিধবা হয়ে যাওয়ায় আমি পাগলের
মত হয়ে গেছি যে কি হবে আমাদের। কারন বাবার কাছ থেকে সাহায্য পাওয়া যাবে
না আমি জানি। আমার শ্বশুর শাশুড়ি নেই। তাই ওখানে দেওর দের কাছে থাকার কোন
প্রশ্নই নেই কারন ওরা আমাকে রাখবে না। এই মুহূর্তে মাসির বাড়ি আছি আমি।
তাই মেশমশাই রাগ করছে মাসির ওপরে। আমার খারাপ লাগলেও কি করব আর। মাসী
বাবাকে জানিয়েছে আমার অবস্থা কিন্তু বাবা কোন উত্তর দেন নি। সেদিন রাতে
খাবার পরে মাসী আমি সিঁড়ির নীচে যে ঘর টায় থাকতাম সেখানে এল। আমাকে বলল –
দেখ তোর মেস রাগ করছে আমার ওপরে। যে আমি তোকে এনে এখানে রেখেছি। খরচা আছে
একটা সমত্ত মেয়ে আর দুটো ছেলের। তোর মেসো রিটায়ার করেছে।
– জানি মাসী। মাসী মেসো কে বলে আমাকে একটা চাকরি করে দিতে বল না। আমি চলে যাব এখান থেকে।আমি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকলাম।
– তোর মেসোর আর সেই ক্ষমতা নেই রে। তুই বাপু তোর বাবার সাথে কথা বল শিলা।
– মাসী তুমি তো বাবাকে চেন। বাবা আমাকে রাখবে না।
– সেটা তুই তোর বাবাকে বল। তুই ওর মেয়ে। তোর বাবা যদি তোকে না রাখে তাহলে কি করে চলবে।আইনত তুই তোর বাবার সম্পত্তির অধিকারি।
– মাসী তুমি বাবাকে বল না আরেক বার।
– দারা তোর মেসো কে দিয়ে বলাই। তোর বাবা তো আমাকে তোড়ে উরিয়ে দেবে।
মাসী
মেসোর কাছে চলে গেল। আর তারপরেই আমাকে ডাকতে এল – আয় তোর বাবার সাথে মেসো
কথা বলছে। আমি ছুটে গেলাম কি কথা হয় জানতে। মেসো আমাকে শনানর জন্য ফোন টা
কে স্পীকার এ দিয়ে কথা বলছে।
– ইন্দ্র অনেক দিন তো হল ,এবারে মেয়ে কে নিয়ে যাও।
– আমি ওকে এখানে রাখব না। ও আমার মেয়ে নয়। ওকে বল অন্য কথাও চলে যেতে।। আমি ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলাম বাবার কোথায়।
– কোথায় যাবে ও? ওর দিদিরাও এই দেশে থাকে না যে ওকে রাখবে। আর একটা সমত্ত মেয়েমানুষ কেই বা রাখবে ওকে? তুমিই নিয়ে যাও ভাই।
–
আমাকে কেন বলছ? তোমরাও তাড়িয়ে দাও না। আমি ওকে মনেই করি না ও আমার
মেয়ে। ও আমার বউ কে খেয়েছে। তোমরাও রেখ না ওকে।। আমি দরজায় মাথা দিয়ে
শারির আঁচল টা মুখে গুঁজে কাঁদতে লাগলাম।
– তুমি একটা এত বড় মাপের লোক এই সব বল না।
– না ওর মাকে আমি খুব ভালবাসতাম ফণী। ওই রাক্ষুসি ওর মাকে খেয়েছে।
–
জানি, কিন্তু ও তো তোমার মেয়ে! দু দুটো ছেলে নিয়ে কোথায় যাবে ও। তুমি
যদি ওর একটা ভাল বিয়ে দিতে মেয়েটা ঠিক থাকত। দোষ তোমার ও আছে ইন্দ্র। এখন
তুমি ছাড়া ওকে কে দেখবে?
বাবার পক্ষ থেকে অনেক ক্ষন চুপ থাকার পরে বাবা বললেন যে – ঠিক আছে । আমি টিকিট পাথিয়ে দিচ্ছি ওকে পাঠিয়ে দাও।
– ও একা দুটো ছেলে নিয়ে একা পারে নাকি?
– না পারলে আমার কিছু করার নেই। তবে ওকে বল মরতে। আবার মেসো আমার দিকে তাকিয়ে দেখল আমি হাউ হাউ করে কাঁদছি।
– না না ইন্দ্র। এগুল কোন কথা নয়। আমি বরং ওকে দিয়ে আসি।
–
সে ঠিক আছে এস। তোমরা অনেক দিন আস নি। চলে এস ঘুরে যাও এখানে। ইতিমধ্যে
আমার বুকে ব্যাথা শুরু হল দুধের জন্য। আমি দৌড়ে এসে ছেলেকে কোলে নিয়ে দুধ
দিতে শুরু করলাম। মনে মনে হাঁফ ছারলাম যে যাক বাবা রাজি হয়েছে। কিছু দিন
থাকি তারপরে বাবাকে বলে কয়ে একটা চাকরি যোগার করে আলাদা থাকব। মাসী এল
আমার ঘরে। শুনলি তো? তোর বাবা রাজি হয়েছে। – হ্যাঁ মাসী। মাসী তুমি বাবাকে বল আমার জন্যে কোন অসুবিদা অনের হবে না। বলে আমি আবার কেঁদে ফেললাম।
– কাঁদিস না শিলু। আমি জানি তুই বড় ভাল মেয়ে।
–
মাসী গো, তুমি ছাড়া আমাকে কেউ ভালবাসে না মাসী। বলে মাসির হাত টা ধরে আমি
হাউ হাউ করে কাঁদতে শুরু করলাম। মাসীও আমাকে ধরে একটু কাঁদল।
আমি
তো রিতিমত ভয়ে আছি যত ট্রেন বম্বের দিকে এগিয়ে আসছে। কি জানি। প্রায়
তের বছর পরে বাবাকে দেখব। আমাকে দেখে যদি রেগে যায়! মাসী আমাকে বলছে ভয়ের
কি আছে? বাবা তো রাজি হয়েছে তোকে রাখতে। আমি একটু আশ্বস্ত হলাম। আমি একটা
সিল্কের শাড়ি পরে ছিলাম। বড় ছেলেতার হাত ধরে মাসী আর আমি ছোট তাকে কোলে
নিয়ে নামলাম ট্রেন থেকে দেখলাম মেসো বাবার সাথে হাত মিলিয়ে কথা বলছে। আমি
নেমে পাশে গিয়ে বাবাকে প্রনাম করলাম। বাবা আমাকে দেখল ও না। সাথে মেসো আর
মাসী কেও প্রনাম করলাম। মাসী আমার থুতনি ধরে চুমু খেল।
– কেমন আছ ইন্দ্র? তুমি তো বুড়ো হচ্ছ না দেখি। শুধু চুল গুল পেকেছে অর্ধেক টা। শরীর টা তো একদম ফিট দেখছি।
–
হা হা হা হা।। তুমি ভাত খাবে আর ঘুমবে তো কি হবে তোমার , বলে বাবা মেসোর
ভুঁড়ি তে একটা হাল্কা ঘুসি মারল।– চল চল দেরি হয়ে গেছে অনেক। আমার দিকে
তাকাল ও না বাবা। মেসোর একটা ব্যাগ নিয়ে বাবা সামনে সামনে চলল। আমি সবার
শেষে আমার ছেলেকে কোলে নিয়ে যেতে থাকলাম। কষ্ট হল কিন্তু মনে মনে ভাবলাম
আর বাবাকে ধন্যবাদ দিলাম এই ভেবে যে না দেখলেও চলবে। আমাকে থাকতে দিয়েছে
এই অনেক। একটা বিশাল গারি এনেছে বাবা। বাবাই চালাচ্ছিল গাড়ি। মেসো পাশে।
আমি আর মাসী পিছনে ছেলে দুটোকে কে নিয়ে।
– জামাইবাবু!
– কি রে? বাবা খুশি হয়ে জবাব দিল
–
তোমার নাতি দের দেখেছ? বাবা পিছন ফিরে কড়া চোখে আমাকে দেখে মাসী কে বলল –
তোরা দ্যাখ।আমি আর কিছু বলল না বাবাকে। আমিও চুপ করে বাইরে দেখতে লাগলাম।
প্রায় ঘণ্টা দুয়েক চলার পরে একটা বিশাল বাংলো মতন বারির কাছে এসে গাড়িটা
থামল। ছোট একটা পাহাড়ের মাথার ওপরে একমাত্র একটা বাড়ি। গাড়ি টা ঢুকে
সোজা বারির ভিতরে একটা ছাওয়া তে এসে দাঁড়াল। অনেক টা জায়গা জুড়ে বাড়ি
টা।সামনে অনেক গাছ পালা। আর সাদা রঙের বাড়ি টা কি সুন্দর লাগছে।
– বাড়ি টা কবে কিনলে ইন্দ্র।
– এই তো মাস ছয়েক। মেয়েরা মাঝে মাঝে আসে। থাকে। তাই কিনলাম এখানে।। শুনে আমার চোখ জলে ভরে এল।
দুপুরে
খাওয়া দাওয়া হল। আমি আর মাসী বারিতেই রান্না করলাম। চিকেন ছিল। মাসী বলল
শিলু তুই চিকেন টা রাঁধ। তোর রান্নার হাত টা বেশ। নীচে কাঁথা পেতে ছেলে টা
কে শুইয়ে আমি আর মাসী রান্না করলাম।আমার বড় ছেলেটা অত বড় বাড়ি পেয়ে
বাইরে ঘাসে বল নিয়ে খেলতে শুরু করল। দুপুরে খাবার সময়ে বাবাআর মেসো বেশ
চেটে পুটে খেল।
–
ও হহহহ পুঁটি( বাবা মাসী কে ওই নামেই ডাকত) চিকেন টা যা রেঁধেছিস না তুই।।
অনেক দিন বাদে এমনি গরম ভাত আর মাংস খেলাম রে। মাসী আমার দিকে তাকিয়ে
বাবাকে বলতে যাবে আমি ইশারায় মানা করলাম মাসী কে। মাসী বলল – এখন তো মেয়ে
রইল খেতে ইছছে হলে বোল ওকে।
–
না পুঁটি, ওর রান্না আমি খাব না।। আমি তখন ভিতরে আম কাটছিলাম। জানি বাবা
খেতে ভালবাসে তাই।শুনে কষ্ট হলেও কিছু মনে করলাম না। মাসী কে ইশারায় ডেকে
আম গুল দিতে বললাম। মাসী দিল মেসো কে আর বাবাকে আম।
– উররীসসসসস… তোরা আম ও এনেছিস? মাসী ফের আমার দিকে তাকাল। কারন আমিএ মাসী কে বলে আম গুল কিনিয়েছিলাম। বাবা আম খেতে খুব ভাল বাসে।
– হ্যাঁ তুমি তো আম খেতে ভাল বাস জামাইবাবু।
–
ওয়াও। থ্যাংকস। আমি খুশি হলাম খুব ই। আমি তো রিতিমত ভয়ে আছি যত ট্রেন
বম্বের দিকে এগিয়ে আসছে। কি জানি। প্রায় তের বছর পরে বাবাকে দেখব। আমাকে
দেখে যদি রেগে যায়! মাসী আমাকে বলছে ভয়ের কি আছে? বাবা তো রাজি হয়েছে
তোকে রাখতে। আমি একটু আশ্বস্ত হলাম। আমি একটা সিল্কের শাড়ি পরে ছিলাম। বড়
ছেলেতার হাত ধরে মাসী আর আমি ছোট তাকে কোলে নিয়ে নামলাম ট্রেন থেকে
দেখলাম মেসো বাবার সাথে হাত মিলিয়ে কথা বলছে। আমি নেমে পাশে গিয়ে বাবাকে
প্রনাম করলাম। বাবা আমাকে দেখল ও না। সাথে মেসো আর মাসী কেও প্রনাম করলাম।
মাসী আমার থুতনি ধরে চুমু খেল।
– কেমন আছ ইন্দ্র? তুমি তো বুড়ো হচ্ছ না দেখি। শুধু চুল গুল পেকেছে অর্ধেক টা। শরীর টা তো একদম ফিট দেখছি।
–
হা হা হা হা।। তুমি ভাত খাবে আর ঘুমবে তো কি হবে তোমার , বলে বাবা মেসোর
ভুঁড়ি তে একটা হাল্কা ঘুসি মারল।– চল চল দেরি হয়ে গেছে অনেক। আমার দিকে
তাকাল ও না বাবা। মেসোর একটা ব্যাগ নিয়ে বাবা সামনে সামনে চলল। আমি সবার
শেষে আমার ছেলেকে কোলে নিয়ে যেতে থাকলাম। কষ্ট হল কিন্তু মনে মনে ভাবলাম
আর বাবাকে ধন্যবাদ দিলাম এই ভেবে যে না দেখলেও চলবে। আমাকে থাকতে দিয়েছে
এই অনেক। একটা বিশাল গারি এনেছে বাবা। বাবাই চালাচ্ছিল গাড়ি। মেসো পাশে।
আমি আর মাসী পিছনে ছেলে দুটোকে কে নিয়ে।
– জামাইবাবু!
– কি রে? বাবা খুশি হয়ে জবাব দিল
–
তোমার নাতি দের দেখেছ? বাবা পিছন ফিরে কড়া চোখে আমাকে দেখে মাসী কে বলল –
তোরা দ্যাখ।আমি আর কিছু বলল না বাবাকে। আমিও চুপ করে বাইরে দেখতে লাগলাম।
প্রায় ঘণ্টা দুয়েক চলার পরে একটা বিশাল বাংলো মতন বারির কাছে এসে গাড়িটা
থামল। ছোট একটা পাহাড়ের মাথার ওপরে একমাত্র একটা বাড়ি। গাড়ি টা ঢুকে
সোজা বারির ভিতরে একটা ছাওয়া তে এসে দাঁড়াল। অনেক টা জায়গা জুড়ে বাড়ি
টা।সামনে অনেক গাছ পালা। আর সাদা রঙের বাড়ি টা কি সুন্দর লাগছে।
– বাড়ি টা কবে কিনলে ইন্দ্র।
– এই তো মাস ছয়েক। মেয়েরা মাঝে মাঝে আসে। থাকে। তাই কিনলাম এখানে।। শুনে আমার চোখ জলে ভরে এল।
দুপুরে
খাওয়া দাওয়া হল। আমি আর মাসী বারিতেই রান্না করলাম। চিকেন ছিল। মাসী বলল
শিলু তুই চিকেন টা রাঁধ। তোর রান্নার হাত টা বেশ। নীচে কাঁথা পেতে ছেলে টা
কে শুইয়ে আমি আর মাসী রান্না করলাম।আমার বড় ছেলেটা অত বড় বাড়ি পেয়ে
বাইরে ঘাসে বল নিয়ে খেলতে শুরু করল। দুপুরে খাবার সময়ে বাবাআর মেসো বেশ
চেটে পুটে খেল।
–
ও হহহহ পুঁটি( বাবা মাসী কে ওই নামেই ডাকত) চিকেন টা যা রেঁধেছিস না তুই।।
অনেক দিন বাদে এমনি গরম ভাত আর মাংস খেলাম রে। মাসী আমার দিকে তাকিয়ে
বাবাকে বলতে যাবে আমি ইশারায় মানা করলাম মাসী কে। মাসী বলল – এখন তো মেয়ে
রইল খেতে ইছছে হলে বোল ওকে।
–
না পুঁটি, ওর রান্না আমি খাব না।। আমি তখন ভিতরে আম কাটছিলাম। জানি বাবা
খেতে ভালবাসে তাই।শুনে কষ্ট হলেও কিছু মনে করলাম না। মাসী কে ইশারায় ডেকে
আম গুল দিতে বললাম। মাসী দিল মেসো কে আর বাবাকে আম।
– উররীসসসসস… তোরা আম ও এনেছিস? মাসী ফের আমার দিকে তাকাল। কারন আমিএ মাসী কে বলে আম গুল কিনিয়েছিলাম। বাবা আম খেতে খুব ভাল বাসে।
– হ্যাঁ তুমি তো আম খেতে ভাল বাস জামাইবাবু।
– ওয়াও। থ্যাংকস। আমি খুশি হলাম খুব ই।
তিন
দিন এমনি আনন্দে দুঃখে কেটে গেল। আনন্দে এই জন্য যে মাসীরা ছিল। আর দুঃখ
এই জন্য যে এই তিন দিনে বাবা আমার সাথে কথা বলা তো দূর আমার ছেলের সাথেও
কথা বলেনি। যাই হোক যাবার আগে দিন মাসী আমার ঘরে এল রাতে। শন শিলা তোকে
কিছু কথা বলে দি আমি।
– মাসী বল না। আমি মাসীকে জড়িয়ে ধরে বললাম মাসী তোমাকে কি বলে যে ধন্যবাদ দেব। যা উপকার করলে তুমি আমার।
– ধুর পাগলী। শোন বাবার সাথে কথা বেশি বলতে যাস না। পছন্দ করে না লোকটা।
– ঠিক আছে মাসী আমি ঘাড় নেড়ে বললাম।
–
আর শোন তোর বাবা আমাকে বলে দিয়েছে যে, রান্না ঘরে যে স্টিলের কোট আছে
সেখানে টাকা থাকে। তোর দরকার হলে নিস। আর যদি কিছু দরকার থাকে দারয়ান কে
দিয়ে আনিয়ে নিস। তোর বাবার ঘরে ঢোকার দরকার নেই।
– ঠিক আছে মাসী। আমি এবারেও ঘাড় নেড়ে বললাম।– মাসী বাবাকে বলে আমার ছেলেকে একটা ইস্কুলে ভর্তি করিয়ে দিও না।
–
হান সেটা আমি তোর বাবাকে বলেছি। তোর বাবা বলেছে ঠিক আছে।। আমি শুনে খুব
খুশি হলাম। পরের দিন মাসী মেসো চলে গেল। এরপরে আমার সত্যিই ভয় করতে শুরু
হল। পারতপক্ষে আমি বাবার সামনে থাকতাম না। আমার ছেলেকেও যেতে দিতাম না।
যদিও ও যমের মত ভয় পেত দাদু কে। বাবা এগারো টায় বেরিয়ে যেত অফিসে আর
ফিরে আসত পাঁচটার দিকে। বাবা চলে গেলে আমি আমাদের রান্না করতাম ।
স্নানকরতাম। ছেলেকে স্নান করাতাম। ঘর পরিষ্কার করতাম। বাবার ঘরে ঢুকতাম না
একদম ই। যে সাত দিন গেছে মাসীরা, একদিন ও বাবা কথা বলেনি আমার সাথে। আমার
ঘর টা ছিল বেশ বড়। ঘরে এসি লাগান। চালাতাম না যদিও। ভয় করত আমার । দেখিনি
কোনদিন কি চালাব? আমি ফ্যানের ভরসা তেই চলতাম। ছেলে মাঝে মাঝে বায়না করত
চালানর জন্য। আমি বাবার ভয় দেখাতেই চুপ করে যেত। বাবা আমার রান্না খাবে না
বলে একটা মাসী এসে রান্না করত। হিন্দি তে কি যে বলত আমি বুঝতাম না। আর
আমার কথাও মাসী বুঝত না।আমার ছেলে মাঝে মাঝে আধা হিন্দি তে বুঝিয়ে দিত।
আমি মাসী কে শুকনো লঙ্কা দিতে মানা করতাম।আমার ছেলে সেটা মাসীকে বুঝিয়ে
দিত। আমার বাবা মদ খেত মাঝে মাঝে। একদিনের ঘটনা।সকাল থেকে প্রচণ্ড বৃষ্টি।
যেন মনে হচ্ছে আকাশ ভেঙ্গে পরবে এবারে। তার সাথে স্যাতলা হাওয়া। বাবা
বেরিয়েছিল সকালে।কিন্তু চলে এল দুপুরে। আমি রান্না করেছিলাম সেদিন কারন
মাসী আস্তে পারে নি। আমি সবে মাত্র ছোট ছেলেকে ঘুম পাড়িয়ে বড় টা কে
পড়াতে বসিয়েছিলাম। দেখি বাবা এল। আমি উঠে এলাম। একটা সাদা সিফনের
সারিপরেছিলাম। দেখি বাবা ঢুকে রান্না ঘরে দেখছে খাবার আছে কিনা। আমি ভয়ে
জিগ্যাসা করতে পারছি না যে কি খুঁজছে বাবা। আমি দাঁড়িয়ে রইলাম চুপ করে
বড় হলের সোফার পাশে। আমি ছেলেকে ইশারায় ডেকে বললাম যা দাদু কে জিগ্যাসা
কর যে খাবে কিনা? ছেলে যাই হোক ভয়ে ভয়ে বাবার কাছে গিয়ে জিগ্যাসা করল
–
আপনি কি খাবেন? বাবা ঘুরে তাকিয়ে দেখল ছেলেকে রাগের দৃষ্টি তে। ছেলে ভয়ে
পিছিয়ে এল। আমিও ভয় পেয়ে গেলাম কি জানি বাবা, আমার ছেলেটা আমার জন্য
মার না খায়। আমি এগোতে যাব বলতে যে ছেলের দোষ নেই আমিই বলেছিলাম ওকে, ঠিক
তখন এ দেখি বাবা বলছে ছেলেকে যে- কোথায় খাবার?
– মা বলল আপনি খেলে মা বানিয়ে দেবে। ছেলে বলল বাবাকে
বাবা
কিছু বলল না । তোয়ালে টা নিয়ে চান করতে চলে গেল। আমিও রান্না চাপাতে বসে
গেলাম।গরম গরম ভাত আর ডিম ভাজা করে দিলাম আর কাঁচা পেঁয়াজ আর কাঁচা লঙ্কা
দিয়ে আলুভাতে করে দিলাম। বাবা চান করে বেরিয়ে খেতে বসল। আমি চলে গেলাম
সামনে থেকে। ঘর থেকে দেখলাম বেশ আনন্দের সাথে চেটে পুটে খেয়ে নিল বাবা সব
টা। আমার বেশ আনন্দ হল। মন খুব খুশি তে ভরে গেল। সন্ধ্যে বেলা বাবা দেখলাম
পেঁয়াজ কুচচ্ছে। আর ঘরে তাকিয়ে দেখলাম বাবার টেবিল এ মদের বোতল রাখা। আমি
রান্না ঘরে গিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। খুব আস্তে করে বললাম
– আমি
বানিয়ে দেব? আমার দিকে তাকিয়ে চলে গেল বাবা ঘরে কোন কথা না বলে। আমিও বেশ
কড়া কড়া করে বাধাকপি কুচিয়ে কাঁচা লঙ্কা দিয়ে বেসনের পকরা বানিয়ে
ছেলেকে বললাম দিয়ে আসতে বাবার ঘরে। ছেলে দিয়ে এল। এমনি করে কখন কথা বলে
কখন না বলে আমার জীবন কাট তে শুরু করল। আমার প্রতি প্রচণ্ড ঘৃণা থাকলেও
প্রয়োজনে টুকটাক কথা বলতে শুরু করল বাবা। একদিন সন্ধ্যে বেলা আমি ছেলেকে
পড়াচ্ছিলাম।বাবা বাইরে টিভি দেখছিল। আমি অত ইংরাজি জানি না বলে যা পারি
পরাই। আর ছেলে যত টা পারে ইস্কুল থেকে শিখে আসে আর আমি পড়ালে শনে বা বোঝার
চেষ্টা করে। আমি ওকে ইংরাজি তে কাল বোঝাচ্ছিলাম।হঠাৎ বাবা ঘরে ঢুকে আমার
ছেলের হাত ধরে বাইরে নিয়ে চলে গেল বই পত্র সমেত। আমার দিকে কড়া চোখে
চেয়ে বলে গেল – না জানলে পড়ান উচিৎ নয়। আমি খুশি তে পাগল হয়ে উঠলাম।
আসতে আসতে বাবার সাথে একটা অদ্ভত চোরা সম্পর্ক তৈরি হল। আমি খুশি ছিলাম।
মাঝে মাঝে দিদিরা ফোন করত। কথা বলতাম।বেশ কাটছিল আমার দিন। আমার ছেলে খুব
শান্ত শিষ্ট ছিল বলে বাবা ওকে অল্প স্বল্প কাছে ডাকত, বা গাড়িনিয়ে বেরলে
ওকে নিয়ে যেত। আমার ওই টুকু হলেই হবে। আমাকে ভালবাসার দরকার নেই। আমার
ছেলেকে ভালবাসলেই অনেক। মাঝে মাঝে রেগে যেত আমার ছোট টা রাতে কান্না কাটি
করলে। আমাকে বলত, –কোথায় বাবা ঘুমোচ্ছে ছেলেতাকে একটু ঠাণ্ডা রাখবে তা
নয়। যত সব শত্রু এসে জুটেছে আমার বাড়িতে। আমি তাড়াতাড়ি ছেলেকে দুধ
দিয়ে শান্ত করতাম। বাবা মাঝে মাঝেই খুব রাত করে বাড়ি ফিরত। একদিন দেখলাম
বাবার পকেট থেকে একটা কনডমের প্যাকেট বেরল। আমার খারাপ লাগলেও কি আর করব
তাই আমি প্যাকেট তা বাবার ড্রয়ার ের ভিতরে রেখে দিয়ে কেচে দিলাম প্যান্ট
টা। আমার নারি মন বলল বাবা আমার বাবা হলেও একজন পুরুষ তো। ইছছে হতেই পারে
বাবার। তাই আমি আর ব্যাপার টা নিয়ে না ভেবে অন্ন্য কাজে মন দিলাম। যদিও
আমি একজন নারি তবুও ওনার মেয়ে তো! কিন্তু ধিরে ধিরে বাবা কথা না বললেও আমি
কাজ করলে দেখত। ছেলেকে পড়াতে পড়াতে দেখত আমাকে। সত্যি বলতে আমিও চাইতাম
বাবা আমাকে দেখুক।কারন একটাই যদি আমাকে একটু কাছে টেনে নেন। মাঝে মাঝেই
গায়ে গায়ে লেগে যেত। আমার গা হাত পা সিরসিরিয়ে উঠত তখন। কি জানি কেন।
হয়ত পুরুষ ের স্পরশে কিম্বা, বাবার স্পর্শে। একদিন স্নান করে আমি
ব্যাল্কনি তে চুল ঝারছি একটা ছোট গামছা দিয়ে। আসলে আমার চুল অনেক মোটা গোছ
আর লম্বা অনেক টা প্রায় পাছা ছাড়ান। আমার শরীরে আমার চুল একটা বিরাট
সম্পদ। অমন রেশমের মত ঘন কালো মোটা পাছা ছাড়ান চুল এখন আর দেখা যায় না
বললেই চলে। আমি পিছনের দিকে বেঁকে গামছা দিয়ে চুল ঝাড়ছি। ঠিক সেই সময়েই
ঘরে চোখ যেতে দেখি। বাবা আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। আমার সাথে চোখাচোখি
হতেই চোখ টা অন্য দিকে সরিয়ে নিল বাবা।আমি কেন জানিনা বেশ লজ্জা পেয়ে
আমার চুল টা খোঁপা করে নিলাম আর অন্য কাজে করতে লাগলাম। কিন্তু মাঝে মাঝেই
বাবার ওই একটা অদ্ভুত চাউনি টা আমার মনে পরতে লাগল। আমার বিধবা শরীর টা তে
একটা অজানা ভয়, আনন্দ মিলে একটা অদ্ভুত অনুভব হতে লাগলো। জানি না কেন?
হয়ত আমার অতৃপ্ত শরীরে বাবার মত একজন পুরুষের লালসা ভরা চাউনি একটা অন্য
রকম আনন্দের সৃষ্টি করছিল। সেদিন এ রাতে আমি বাইরের ঘরে বসে টিভি তে বাংলা
সিরিয়াল দেখছিলাম আর চুল আঁচড়াচ্ছিলাম। বাবা ছেলেকে পড়াচ্ছিল। আমার কি
মনে হতে বাথরুমের দিকে তাকিয়েই দেখি বাবা বাথরুমের দরজা থেকে একটু ফাক করে
আমাকে দেখছে । আমি এমন ভান করলাম যেন দেখতে পাইনি। কিন্তু সামনের একটা ছোট
আয়না তে বাবাকে আমি দেখতে পাছছিলাম টিভি র দিকে মুখ করেও। দেখছিলাম বাবা
আমাকে এক দৃষ্টে দেখছে আর মনে হল যেন হস্তমইথুন করছে। কারন এই জিনিস আমি
দেখেছিলাম বিয়ের পরে আমার বর কে করতে। শরীরে একটা অদ্ভুত কম্পন শুরু হল
জানিনা কেন। আমি কিসের যেন একটা অদৃশ্য শক্তির বলে বাবাকে আরও উত্তেজিত
করবার জন্য চুল টা কে সামনে এনে আঁচড়াতে শুরু করলাম আরও বাবাকে দেখিয়ে
দেখিয়ে। আমি জেনে গেছি বাবার কিসে দুর্বলতা। মনে পরছে আমার মায়ের ও লম্বা
চুল ছিল কোমর অব্দি। আমি ভগবান কে ধন্যবাদ দিলাম এই ভেবে যে আমার মায়ের
থেকেও লম্বা মোটা সিল্কি চুল। প্রথম বাবা মনে হয় আমাকে দেখল। সে জেই নজরেই
হোক না কেন। সেদিন রাতে কেন জানিনা অনেক দিন বাদে শরীর টা আমাকে জানান দিল
আমি যুবতী। ছেলেকে দুধ দেবার সময়ে খেয়াল করলাম আমাএ দুধের মত সাদা
বিশালটাইট ৩৮ সাইজের মাই দুটো আর কার কোন কাজেই লাগবে না। নিজেই বাঁ দিকের
মাইএর বোঁটায় চাপ দিতেই ফিনকী দিয়ে দুধ বেরিয়ে এল। খুব আরাম পেলাম নিজের
ওপরে নিজের ই এই অত্যাচারে। কিন্তু নিজেই ভাবতে পারছি না যে বাবার মত অমন
একজন উঁচু পর্যায়ের পুরুষ আমার শরীর আর চুলের জন্য কামনার বশবর্তী হবে।
আমি মনে মনে ঠিক করে নিলাম যত নোংরাই হোক না কেন ব্যাপার টা আমি বাবাকে
আমাকে ভোগ করতে না দিয়ে আর বাবার বিরাগভাজন হব না।তাতে বাবা যা চায় আমি
তাই করব। একদিনের ঘটনা। আমি রাতে ঘুমাতে গেলাম এক রোমে একা ছেলে বাবার
সাত্থে ঘুমাবে আজ ।
Comments
Post a Comment
নিয়মিত পোষ্ট পেতে আমাদের পেইজে লাইক করুন follow দিন সব সময় পাশে থাকুন।